দেশে প্রতিদিন ঝড়ের গতিতে বাড়ছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুও। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৭৬।
অপরদিকে এদিন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে দুই হাজার ২৯২ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। যা চলতি বছরে এক দিনে সর্বোচ্চ। এর একদিন আগে গত ২২ জুলাই দুই হাজার ২৪২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তির খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ ডা. মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, শনিবার সকাল আটটা থেকে রোববার সকাল আটটা পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ে ঢাকার এক হাজার ৬৪ জন ও ঢাকার বাইরের এক হাজার ২২৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩২ হাজার ৯৭৭ জন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৯ হাজার ৯৪৯ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ১৩ হাজার ২৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, একই সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৫ হাজার ৬২৬ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১৫ হাজার ৬৬১ এবং ঢাকার বাইরের ৯ হাজার ৯৬৫ জন।
এদিকে রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজধানীর উত্তর সিটির করপোরেশনের পাঁচটি ও দক্ষিণে ছয়টি এলাকা থেকে ডেঙ্গু রোগীরা হাসপাতালে বেশি ভর্তি হচ্ছেন।
তার মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটির যাত্রাবাড়ী, মুগদা, কদমতলী, জুরাইন, ধানমন্ডি ও বাসাবো থেকে ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে বেশি ভর্তি হচ্ছেন। আর উত্তরের মধ্যে রয়েছে উত্তরা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, তেজগাঁও ও বাড্ডা।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
আর ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।